ফুলবাড়ীয়া প্রতিদিন

এগিয়ে থাকে, এগিয়ে রাখে

ফুলবাড়ীয়া শীর্ষ

জাহাঙ্গীর আলম সার্ক কালচারাল সোসাইটি বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

জাহাঙ্গীর আলম সার্ক কালচারাল সোসাইটি বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮ জুলাই ২০২৪ ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে সোসাইটির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় সবম্মতিতে তাকে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তিন বছর মেয়াদী এই কমিটি ঘোষণা করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক যুগ্ন সচিব ও সার্ক কালচারাল সোসাইটির ভারতের সভাপতি ডক্টর অমল কান্তি রায়।

সার্ক কালচারাল সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। সোসাইটির প্রধান লক্ষ্য হলো সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতির মাধ্যমে বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

নির্বাচিত হওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এই সম্মান আমাকে অত্যন্ত গর্বিত করেছে। আমি সার্ক অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বিকাশে এবং সোসাইটির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”নতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, জাহাঙ্গীর আলমের পরিকল্পনা হলো সোসাইটির কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সার্ক দেশগুলোর জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। তিনি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে আরো বেশি সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দিচ্ছেন।

জাহাঙ্গীর আলম ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশীপে বিবিএ, এমবিএ সম্পূর্ণ করে পিএইচডি গবেষণারত রয়েছেন। তাছাড়া ভারতের সানরাইজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (বিডি), বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ভারতের নজরুল একাডেমী (কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) আজীবন সদস্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউডোক্সিয়া রিসার্চ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন, ফিলিপাইনের শব্দার্থিক জার্নাল এডিটোরিয়াল বোর্ড, কলকাতা ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সমস্য ।জেট ফাউন্ডেশন, ফুলবাড়িয়া ইকরা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ভারতে প্রথম ভ্রাম্যমাণ শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করেছেন।বিদেশের একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে তার মৌলিক গবেষণা প্রকাশ হয়েছে এবং একাধিক বই সম্পাদনা করেছেন।

তিনি ঢাকায় ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার স্মৃতি পদক, ভারতে ২০২০ সালে জাতীয় কালা শ্রী সম্মান ও ঢাকায় ২০২৩ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পদকে ভূষিত হন।